পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম বলেছেন, দুষ্কৃতকারীরা চেয়েছিল জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির বাতিঘর হয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ অল্প সময়ের মধ্যেই পূর্ণগঠনে তার অবদান ছিল উল্লেখ করার মতো। গ্রাম উন্নয়নে তিনি সমন্বিত পল্লী উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষ্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের উদ্যোগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমবায় অধিদপ্তরের মাল্টিপারপাস হলে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব আরও বলেন, জাতির পিতা কূটনীতিক হিসেবেও ছিলেন দক্ষ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তার কূটনীতিক দক্ষতা পরিলক্ষিত হয়। তার জীবন ও কর্ম ছিল এক বিশাল মহাসমুদ্র।
জাতির পিতার জীবনে বঙ্গমাতার অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ কারাজীবনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন সর্বংসহা। দুর্যোগকালীন সময়ের সহযাত্রী। জাতির পিতার রাজনৈতিক আদর্শের প্রেরণাদাত্রী। প্রেরণাদাত্রী হয়ে আমৃত্যু নিভৃতচারী ছিলেন।
জাতির পিতার দেশাত্মবোধ ও আদর্শ কর্মে প্রতিফলন ঘটানোর জন্য পল্লী উন্নয়নও সমবায় বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের আহ্বান জানান তিনি।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বাজেট) মো. শাহাদাৎ হোসাইনের সভাপতিত্বে পিডিএফর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহম্মদ মউদুদউর রশীদ সফদার, অতিরিক্ত সচিব মুনিমা হাফিজ , অতিরিক্ত সচিব ড. হুমায়রা সুলতানা এবং সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো: শফিকুর রেজা বিশ্বাস এ সময় বক্তৃতা করেন।