রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশ বেতার এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সরব হয়েছে। সংবাদ ও অনুষ্ঠান বেতার যন্ত্রের পাশাপাশি ফেসবুক, মোবাইল অ্যাপ ও ইউটিউবে নিয়মিত প্রচার হচ্ছে।
সম্প্রতি বেতারের সম্মেলন কক্ষে ১৪টি আঞ্চলিক কেন্দ্র ও ৭টি বিশেষায়িত ইউনিটের অনুষ্ঠান ও বার্তা শাখার মোট ৩৬টি ফেসবুক পেজ ও ৩৪টি ইউটিউব চ্যানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মহাপরিচালক নাসরুল্লাহ মো. ইরফান।
বেতার মহাপরিচালক বলেন, যুগের চাহিদা অনুযায়ী বেতার প্রতিদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করছে। নিউমিডিয়ার কল্যাণে বাংলাদেশ বেতার এখন সকলের হাতের মুঠোয়। বর্তমানে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে বেতারের অনুষ্ঠান শোনার জন্য মোবাইল অ্যাপস রয়েছে, হাতে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার মতো সহজ প্রচার মাধ্যম।
নাসরুল্লাহ মো. ইরফান বলেন, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে প্রচলিত মাধ্যমে বেতার সম্প্রচার হ্রাস পাচ্ছে, পাশাপাশি বেতার যন্ত্রের অপ্রতুলতার কারণে প্রতি শ্রোতাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দিক-নির্দেশনায় নিউমিডিয়া কার্যক্রমটি শুরু করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে বেতারের জনপ্রিয়তাও আশানুরূপভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শ্রোতারা পুনরায় তাদের সুবিধামতো সময়ে অনুষ্ঠান শুনতে পারছেন।
বাংলাদেশ বেতারের লিয়াজোঁ ও শ্রোতা গবেষণা শাখার রিপোর্টে বলা হয়, বেতারের অনুষ্ঠান ও বার্তা শাখার সকল আঞ্চলিক কেন্দ্র ও ইউনিটের ৩৬টি ফেসবুক পেজে বর্তমানে মোট ৫,৭৭,২৩৪ জন ফলোয়ার এবং ৩৪টি ইউটিউবে ৬৪,১৯০ জন সাবস্ক্রাইবারস রয়েছে। এছাড়াও, বাংলাদেশ বেতারের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপসে যুক্ত আছেন ৩৪,২২,৩২৯ জন শ্রোতা।