চট্টগ্রাম আদালতে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক নিরোধ আইনের একটি মামলায় সঞ্জয় চৌধুরী ওরফে তন্ময় ওরফে আবির চৌধুরী (২৬) নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রোববার (২০ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মধুসুধন দাশ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ১৯ জুলাই যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে সঞ্জয় চৌধুরীর স্ত্রী ইমা বসু মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ওইদিন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন। আজ (রোববার) মামলাটির ধার্য তারিখ ছিল। এ দিন অভিযুক্ত সঞ্জয় আদালতে হাজির হননি। তাই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সঞ্জয় চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নে। তার বাবার নাম চন্দন চৌধুরী। সঞ্জয় কনস্টেবল হিসেবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) কক্সবাজারে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া মামলার বাদী ইমু বসু নগরের কোতোয়ালি থানার রুমঘাটা এলাকার বাসিন্দা চিরঞ্জীব বসুর একমাত্র মেয়ে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালে ফেসবুকে ইমু বসুর সঙ্গে সঞ্জয় চৌধুরীর পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ২০১৯ সালে ৩০ জুন তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সঞ্জয় তার স্ত্রীর কাছ থেকে নানান অজুহাতে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এর মধ্যেই অভিযুক্ত সঞ্জয় পরনারীতে আসক্ত হয়ে পড়েন। বিভিন্ন সময় তিনি মোবাইলে একাধিক নারীর সঙ্গে কথা বলতেন।
২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি তাদের সংসারে জমজ ছেলে জন্মলাভ করে। এরপর সঞ্জয় ছেলেদের এবং স্ত্রীর জন্য তেমন ভরণপোষণের খরচ দিতেন না। গত ১ জুন সঞ্জয় স্ত্রীকে ফোন করে নানানভাবে হুমকি দেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইমু কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে জিডির পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্জয়কে কোতোয়ালি থানায় হাজির হতে নোটিশ দেয় পুলিশ।
গত ৭ জুলাই কোতোয়ালি থানায় হাজির হয়ে সংসার করতে ইচ্ছুক বলে জানান সঞ্জয়। ওইদিনই স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যান তিনি। তবে সেখানে গিয়ে পুনরায় ঝগড়া করেন। এ ঘটনার দু’দিন পর ৯ জুলাই স্ত্রীর কাছে ডিভোর্স নোটিশ পাঠান সঞ্জয়। এরপর গত ১৯ জুলাই আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল