বয়সভিত্তিক দলে পারফর্ম করে সবার নজরে আসেন তানজিম হাসান সাকিব। বিশেষ করে ২০২০ সালের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বল হাতে আলো ছড়িয়ে লাইম লাইটে আসেন এই পেসার। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বিসিএল, ডিপিএল কিংবা বিপিএল সব ধরনের ঘরোয়া আসরেই নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠেন এই তরুণ। বছর দুয়েকের ব্যবধানে এবার ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। সেটাও আবার এশিয়া কাপের মতো বড় মঞ্চে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা এই পেসার আজ ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই আলোচনার চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-
প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেলেন। অনুভূতি কেমন?
সাকিব: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। ছোট বেলা থেকেই সব খেলোয়াড়দেরই স্বপ্ন থাকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার। আমারো সেটা ছিল, তো আলহামদুলিল্লাহ, এখন সত্যি হচ্ছে। খুবই ভালো লাগছে।
জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার খবর সবার আগে কাকে জানিয়েছেন?
সাকিব: প্রথমেই আমি আব্বাকে ফোন করেছি। আব্বা শুনে, খুবই খুশি হয়েছেন। ভালো করে খেলতে বলেছেন, দোয়া করেছেন। আমি ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পেছনে আব্বার অবদান সবচেয়ে বেশি। সে হিসেবে ভাবলাম যে, আব্বাকেই প্রথম এই খবরটা দেই। এছাড়া আমার বোনরা আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। তারাও খুশি হয়েছে সবাই।
জাতীয় দল পর্যন্ত আসার পেছনে আপনাকে সবেচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন কোন কোচ বা কার অবদান সবচেয়ে বেশি?
সাকিব: আমি বিকেএসপির দুইজন কোচের কথা বলবো। কাউসার স্যার এবং তুলতুল স্যার। জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর এই দুইজনকে আমি ফোন করে জানিয়েছি। তারা শুনে খুব খুশি হয়েছেন।
একাদশে সুযোগ পেলে আপনার লক্ষ্য কি থাকবে?
সাকিব: আমি সব জায়গায় চেষ্টা করি দলের চাওয়া অনুযায়ী বোলিং করার। যদি আমি এশিয়া কাপের দলে (একাদশে) সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই দল যেটা চাইবে বা অধিনায়ক যেটা আশা করবেন, সেটা পূরণ করার চেষ্টা করবো। এছাড়া অনুশীলনে চেষ্টা করছি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে প্রস্তুত হওয়ার।
সদ্যই অধিনায়কত্ব পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। এরপর তার সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে?
সাকিব: না, সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে এখনো কোনো কথা হয়নি। হবে নিশ্চয়ই, ইনশাআল্লাহ।