রাজবাড়ীর পাংশায় বিষধর সাপের কামড়ে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
এর আগে সোমবার (২১ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার বাহাদুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে তাকে সাপ কাপড় দেয়।
মৃত স্কুলছাত্রীর নাম সাফা পারভীন (১৩)। সে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. শাহজাহান মণ্ডলের মেয়ে ও বাহাদুরপুর শহীদ খবিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
সাফার পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মায়ের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন সাফা। হঠাৎ রাত ২টার দিকে কি যেন কামড় দিয়েছে বলে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। পরে তার বাবা লাইট জ্বালিয়ে দেখেন কালো রঙের ডোরা কাটা একটা সাপ। সঙ্গে সঙ্গে তারা সাপটিকে মেরে ফেলেন। পরে সকালে সাফাকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে অ্যান্টিভেনম না থাকায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও অ্যান্টিভেনম না পাওয়ায় বাইরে থেকে ক্রয় করে তাকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়। তারপরও তার অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুজাউদ্দিন সোহাগ বলেন, হাসপাতালে সাপে কাটা কোনো রোগী এসেছে কিনা আমার জানা নেই।এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম না থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মো. ইব্রাহিম টিটন বলেন, নিহতের স্বজনরা যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই অ্যান্টিভেনম আছে।
