বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলেই শেখ হাসিনার সরকারের জ্বর আসে। তারা জোর করে ক্ষমতায় থাকতে বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যা ও অঙ্গহানি করছে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনের আগে তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে নানা ধরনের তাস খেলেন।
রোববার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কতুবপুরের নয়ামাটি এলাকায় বিএনপির এক দফা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে আর্থিক সহায়তা প্রদান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন। এদিন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে একান্ত আলাপচারিতা শেষে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা তার হাতে থাকা তাস নিয়ে খেলায় মাতেন। তিনি কখনো জঙ্গিবাদের নাটক মঞ্চায়ন করেন, আবার কখনো আগুন-সন্ত্রাসের কথা বলেন। আদতে তিনি তার পুলিশ বাহিনী ও র্যাবকে দিয়ে বিরোধীদলকে দমন করতে চান। আমরা এক দফা দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সেখানে ভোটের অধিকার ও ভাতের অধিকারের কথা বলায় এই নারায়ণগঞ্জের শাওনকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। টিটুর মতো ত্যাগী নেতাকে গুলি করে চোখের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পান বলেই এই ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করে অন্ধকার রাতে কবরস্থানের মতো গা ছমছম পরিবেশ কায়েম করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের জঙ্গি নাটক সম্পর্কে এই দেশের সাধারণ জনগণ জানেন। আজকে বিভিন্ন শ্রমজীবী ও পেশাজীবীদের কাছে জানতে চাইলেও তারা বলবে এগুলো এই সরকারের তামাশা। এগুলো শুধু আমাদের কথা না, এগুলো তাদের নিজেদের লোকেদের কথা। কথায় আছে, সত্যকে কখনো চেপে রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন প্রায় দেড় থেকে দুই মাস যাবত সস্ত্রীক গুরুতর অসুস্থ এবং বহুদিন যাবৎ চিকিৎসাধীন। এছাড়া মির্জা আব্বাসও জটিল রোগে চিকিৎসাধীন। এখানে বিদেশিদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে আন্দোলন চালানোর যোগসূত্র জনগণ পেলেন না কিন্তু ওবায়দুল কাদের পেলেন। তারা যে জনগণের কাছে মিথ্যাচার করে অপকর্ম করতে চায় এটাই তার প্রমাণ। তিনি বিভিন্ন মিথ্যাচার করে আওয়ামী লীগকে সার্কাসের জোকারে পরিণত করেছেন।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, রিহ্যাবিলিটেশন কমিটির আহ্বায়ক শাহ্ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহামুদুর রহমান সুমন প্রমুখ।